স্বদেশ ডেস্ক: মণিরামপুরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচারকালে আলমগীর হোসেন (২৮) নামে কথিত এক প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ১২ জুলাই রাতে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। এর আগে ওইদিন দুপুরে বেনাপোলের সীমান্তবর্তী পাঁচভুলোট গ্রাম থেকে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে পাচারের শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
আলমগীর হোসেন উপজেলার ঝাঁপা মিস্ত্রি পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। এর আগেও মানবপাচার মামলায় তিনি জেল খেটেছেন। আর ওই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার হানুয়ার গ্রামে। সে চালুয়াহাটি ইউনিয়নের লণপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহমুদ হাসান জানান, আলমগীর আগেও তিনটি বিয়ে করেছে। সে সরকারি চাকরি করে এই পরিচয় দিয়ে মোবাইলে মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মেয়েদের ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে ভারতে পাচার করাই তার পেশা। দুইমাসে আগে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ হয় তার।
দুপুরে মাদরাসা ছুটির পর তাকে অপহরণ করে ভারতে পাচারের উদ্দেশে বেনাপোলের পাঁচভুলোট সীমান্তে নিয়ে যায় সে। চলাফেরায় সন্দেহ হওয়ায় ওই দিন গভীর রাতে স্থানীয়রা তাদের দুই জনকে ধরে ফেলেন। পরে নাম ঠিকানা নিয়ে তাদের বাড়িতে ফোন করেন সেখানকার লোকজন। খবর পেয়ে ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ পুলিশ গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়। মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক জানান, মাদরাসাছাত্রীকে ভারতে পাচারের ঘটনায় পাচারকারী আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হবে।